বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৫ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: বিশ্বব্যাপী পালিত হয়েছে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস। বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) সারাবিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশেও যথাযথভাবে দিবসটি পালন করা হচ্ছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় দিনটি উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘লিটারেসি ফর হিউম্যান-সেন্টার্ড রিকভারি : ন্যারোয়িং দ্যা ডিজিটাল ডিভাইড’।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দিবসটি উপলক্ষে প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে দিনের কার্যক্রম উদ্বোধন করা হবে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন দিবসের উদ্বোধন করবেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন মন্ত্রণালয়ের সচিব। অনুষ্ঠানে ইউনেস্কো মহাপরিচালকের পাঠানো বক্তব্য পেশ করা হবে।
দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা অনুষ্ঠান, ক্রোড়পত্র প্রকাশ, গোলটেবিল বৈঠক, বাংলাদেশ টেলিভিশনে টক-শো অনুষ্ঠান করা হবে। এছাড়া দেশের প্রত্যেক জেলা প্রশাসক স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিজ নিজ কর্মস্থলে আলোচনা সভার আয়োজন করবেন।
এ কারণে উপানুষ্ঠানিক প্রাথমিক ব্যুরো বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এছাড়া দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোও দিবসটি পালন করবে।
এর আগে সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা অধিদফতর ও বর্তমানের উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো প্রায় ১ কোটি ৮০ লক্ষ নিরক্ষরকে সাক্ষরতা প্রদান করেছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ২০২০ সালের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী- দেশের সাক্ষরতার হার বর্তমানে ৭৫ দশমিক ৬ শতাংশ। বর্তমান সরকারের নানামুখী কর্মসূচির কারণে আগের তুলনায় সাক্ষরতার হার উত্তরোত্তর বাড়ছে। তবে এখনো প্রায় ২৪ দশমিক ৪ শতাংশ জনগোষ্ঠী নিরক্ষর। এই জনগোষ্ঠীকে সাক্ষর করতে না পারলে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন সম্ভব নয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেছিলেন, শিক্ষার সুযোগ বঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে সাক্ষর জ্ঞানদান, জীবনব্যাপী শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি, কারিগরি ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জীবিকায়ন, দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করা, আত্ম-কর্মসংস্থানের যোগ্যতা সৃষ্টিকরণ এবং বিদ্যালয় বহির্ভূত ও ঝরে পড়া শিশুদের শিক্ষার বিকল্প সুযোগ সৃষ্টির জন্য সরকার উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা আইন করেছে। এ আইন অনুযায়ী উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার শ্রেণিবিভাগ ৩৩ দশমিক ৭৯ মিলিয়ন কিশোর-কিশোরী ও বয়স্ক নিরক্ষর জনগোষ্ঠীকে মৌলিক সাক্ষরতা দেওয়া হবে। মৌলিক সাক্ষরতা অর্জনকারী ৫ মিলিয়ন নব্যসাক্ষরকে কার্যকর দক্ষতা প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। আর উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা বোর্ডকে কার্যকর করা।
মন্ত্রণালয় জানায়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার প্রজ্ঞা, মেধা আর দূরদর্শিতা দিয়ে সদ্য স্বাধীন দেশে মানুষকে অর্থনৈতিক মুক্তি দিতে হলে জাতিকে নিরক্ষরতার অভিশাপ থেকে মুক্ত করার উদ্যোগ নেন। বঙ্গবন্ধু দেশ থেকে নিরক্ষরতা দূর করতে এবং শিক্ষাকে অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক হিসেবে ঘোষণা করেন। সাক্ষরতা বিস্তারে আন্তর্জাতিক ফোরামের সঙ্গে একাত্বতা প্রকাশ করে ১৯৭২ সালে স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো সাক্ষরতা দিবস উদযাপিত হয়।